তাফসীরে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী

আট খণ্ড তাফসীর শরীফ

তাফসীর প্রণেতা সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (রহ.) হুজুর কেব্লাজানের অনবদ্য অবদান ‘তাফসীরে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী আল্লাহর জাত-পাকের পরিচয়-১ম খণ্ড, এবং তাফসীরে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী আল্লাহর গুণবাচক নামের পরিচয়-২য় খণ্ড, ৩য় খণ্ড, ৪র্থ খণ্ড, ৫ম খণ্ড, ৬ষ্ঠ খণ্ড, ৭ম খণ্ড ও ৮ম খণ্ড’। এ তাফসীর শরীফ পৃথিবীর অতুলনীয় একমাত্র বিষয়ভিত্তিক তাফসীর, যে তাফসীর শরীফে মহান রাব্বুল আলামীনের জাত-পাক এবং তাঁর গুণের পরিচয় উপস্থাপিত হয়েছে। মু’মিন মুসলমানের মনের চির আকাঙ্ক্ষা আল্লাহ্ সম্পর্কে জানা এবং তাঁর দীদার লাভ করা। সুতরাং সে মহান আল্লাহ্ দেখতে কেমন, তাঁর অপরূপ সুন্দর নূরের রূপের বর্ণনা তাফসীর প্রণেতা তাঁর তাফসীর শরীফের ১ম খণ্ডে উপস্থাপন করেছেন। এরই মধ্য দিয়ে তাফসীর প্রণেতা পৃথিবীবাসীর সামনে মহান রাব্বুল আলামীনের পরিচয় প্রকাশে নবদিগন্তের দ্বার উন্মুক্ত করেছেন। কেননা ইতিপূর্বে পৃথিবীতে আল্লাহ্র জাত-পাকের পরিচয় সংবলিত তাফসীর কেউ লেখেননি। অর্থাৎ নূরময় সত্তা মহিমান্বিত আল্লাহ্ একত্ববাদের প্রমাণ, তাঁর চেহারা মোবারক, চক্ষু মোবারক, শ্রবণেন্দ্রিয় বা কান মোবারক, জবান মোবারক, হাত মোবারক, দেহ মোবারক, কদম মোবারক ও রূহ মোবারকের প্রমাণ দিয়ে আজ পর্যন্ত জগতে কোন তাফসীর প্রণীত হয়নি। অতঃপর স্বরূপে বিদ্যমান নূরময় সত্তা আল্লাহকে যে এ দুনিয়াতে দেখা যায়, তাফসীর প্রণেতা তাঁর বাস্তব অভিজ্ঞতা এবং কুরআন ও হাদীসের অকাট্য দলিল-প্রমাণ দ্বারা ‘তাফসীরে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী-১ম খণ্ডে’ সেটি সুস্পষ্ট করেছেন। তারপর তাফসীর প্রণেতা তাঁর তাফসীর শরীফের ২য় খণ্ড থেকে ৮ম খণ্ড পর্যন্ত মহান রাব্বুল আলামীনের আসমাউল হুসনা তথা সুন্দর সুন্দর গুণবাচক নামসমূহের সূত্র ধরে আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীনের অপরিসীম গুণের বর্ণনা উপস্থাপন করেছেন। সুতরাং এটিই পৃথিবীর একমাত্র তাফসীর শরীফ, যে তাফসীর শরীফের ৮টি খণ্ড জুড়ে কেবলই দয়াময় আল্লাহ্ পরিচয় উপস্থাপিত হয়েছে। আর এ আট খণ্ড তাফসীর শরীফ, তাফসীর প্রণেতার হায়াতে তাইয়্যেবার সুদীর্ঘ তেত্রিশ বছরের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল।

মহাবিশ্বের মহান মালিক আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীনের পরিচয় সংবলিত তাফসীর রচনা করে সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (রহ.) হুজুর কেব্লাজান সৃষ্টি জগতে এক অনবদ্য ইতিহাস রচনা করেছেন, যা মোহাম্মদী ইসলামের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ হয়ে থাকবে। এ তাফসীর শরীফ অনবদ্য ইতিহাস সৃষ্টিকারী এ কারণে, তাফসীর প্রণেতা নিজে আল্লাহকে দেখেছেন। তিনি আল্লাহ্ প্রিয় বন্ধু হওয়ায় আল্লাহ্ সম্পর্কে জানেন, অতঃপর তিনি তাঁর প্রত্যক্ষ দর্শন ও বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে আল্লাহ্র পরিচয় সংবলিত তাফসীর রচনা করে বিশ্ববাসীকে উপহার দিয়েছেন। মহাকালের ধারাবাহিকতায় অনাদি অনন্তকালজুড়ে এ তাফসীর শরীফ বিশ্বমানবতাকে আল্লাহর পরিচয় জানতে, এবং তাঁকে লাভ করতে সাহায্য করবে ইনশাআল্লাহ।

তথসূত্র: মোহাম্মদী ইসলামের ওয়াজিফা গ্রন্থ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *