ঢাকায় নেতানিয়াহুর ছবিতে জুতাপেটার খবর ইসরাইলি গণমাধ্যমে
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় বর্বরতা প্রতিবাদে বাংলাদেশে হওয়া বিক্ষোভ কর্মসূচি ‘মার্চ ফর গাজা’র খবর প্রকাশ করেছে ইসরাইলি গণমাধ্যম। প্রতিবেদনে বিক্ষোভ-প্রতিবাদের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়েছে।

শনিবার (১২ এপ্রিল) বাংলাদেশের রাজধানী শহর ঢাকায় ‘মার্চ ফর গাজা’ নামে বিশাল বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। ছবি: এপি

এমনকি ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং তার ঘনিষ্ঠ দুই মিত্র মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবিতে জুতা দিয়ে আঘাত করার তথ্য উঠে এসেছে প্রতিবেদনে।

গাজায় প্রায় দেড় বছর ধরে চলমান ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে বিশ্বের দেশে দেশে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ অব্যাহত রয়েছে। ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে রাজপথে নামছেন ইয়েমেন, পাকিস্তান, লিবিয়ার বাসিন্দারা।

যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্যবাদ ও ইসরাইলি আগ্রাসন বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ ও ঐক্য গড়ার আহ্বান জানিয়েছেন এসব দেশের বিক্ষোভকারীরা। শনিবার (১২ এপ্রিল) বাংলাদেশের রাজধানী শহর ঢাকায় ‘মার্চ ফর গাজা’ নামে বিশাল বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এতে সব ধর্মবর্ণের হাজার হাজার মানুষ অংশ নেন।

বাংলাদেশিদের এই বিক্ষোভ নিয়ে খবর প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম। টাইমস অব ইসরাইল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গাজায় ইসরাইলের হামলার নিন্দা জানাতে বাংলাদেশের রাজধানীতে বিক্ষোভর‌্যালি করেছেন হাজার হাজার বিক্ষোভকারী।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রায় ১ লাখ বিক্ষোভকারী জড়ো হয়। শত শত ফিলিস্তিনি পতাকা নিয়ে তারা ‘ফ্রি ফ্রি, ফিলিস্তিন’ স্লোগান দেন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বিক্ষোভকারীদের অনেকে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর পাশাপাশি ইসরাইলকে সহায়তার অভিযোগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবিতে (জুতা দিয়ে) দিয়ে আঘাত করে।

আরও বলা হয়, র‌্যালিতে তারা প্রতীকী কফিন এবং হতাহত বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের প্রতীকী লাশ নিয়ে আসেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল এবং ইসলামপন্থি দলগুলো এই সমাবেশের সাথে সংহতি প্রকাশ করে।

১৭ কোটি জনসংখ্যার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ বাংলাদেশ ইসরাইলের সাথে কোন কূটনৈতিক সম্পর্ক রাখে না এবং এটি আনুষ্ঠানিকভাবে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনকে সমর্থন করে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *