দেওয়ানবাগ শরীফে অনুষ্ঠিত ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদি: বিশ্বব্যাপী মোহাম্মদী ইসলামের বার্তা

ঢাকা, বাংলাদেশ — দেওয়ানবাগ শরীফের প্রতিষ্ঠাতা সূফী সম্রাট হজরত সৈয়দ মাহবুব এ খোদা দেওয়ানবাগী (রহ.) এর নেতৃত্বে আয়োজিত ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলো মুসলিম জাহানে মোহাম্মদী ইসলামের সুমহান আদর্শ ছড়িয়ে দেওয়ার এক অনন্য মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত। তাঁর উদ্দীপনামূলক আহ্বানে প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ আশেকে রাসুল (সা.) দেশ-বিদেশ থেকে এসব আয়োজনে অংশগ্রহণ করে আসছেন।

দেওয়ানবাগী হুজুর প্রতিবছর পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) ও পবিত্র আশুরা উপলক্ষে আয়োজন করতেন “আশেকে রাসুল (সা.) সম্মেলন”। এই সম্মেলনগুলোতে নবী করীম (সা.)-এর প্রতি অগাধ ভালোবাসা ও আনুগত্যের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। পাশাপাশি শবে বরাত ও শবে কদরের রাতে আয়োজন করতেন রাতব্যাপী আশেকে রাসুল (সা.) মাহফিল, যা ভক্তদের কাছে এক পরম আত্মিক প্রশান্তির উৎস হয়ে উঠেছিল।

বিশ্ব আশেকে রাসুল (সা.) সম্মেলন
দেওয়ানবাগী হুজুরের আহ্বানে অনুষ্ঠিত বিশ্ব আশেকে রাসুল (সা.) সম্মেলন

দেওয়ানবাগী হুজুর তাঁর মোর্শেদ ইমাম সৈয়দ আবুল ফজল সুলতান আহমদ (রহ.)-এর ওফাত দিবস উপলক্ষে ১৯৮৫ সাল থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত মোট চারটি মহাপবিত্র ওরশ মোবারকের আয়োজন করেন। এরপর তাঁর মোর্শেদ ইমামের জন্মদিন উদযাপন উপলক্ষে ১৯৮৯ সাল থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত আয়োজিত হয় সাতটি ‘বিশ্ব সূফী সম্মেলন’।

১৯৯৭ সাল থেকে তাঁর ওফাত পর্যন্ত, বিশ্ব সূফী সম্মেলনের ধারাবাহিকতা রূপ নেয় ‘বিশ্ব আশেকে রাসুল (সা.) সম্মেলন’-এ। এই সময়ের মধ্যে সর্বমোট ২২টি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে অংশগ্রহণকারীরা ইসলামের আত্মিক শিক্ষা ও রাসুল (সা.)-এর আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে জীবনের পথে অগ্রসর হন।

তাঁর ওফাতের পরবর্তীতে তাঁর সুযোগ্য উত্তরসূরী ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা.আ.) হুজুরের আহ্বানে শাহ দেওয়ানবাগী (রহ.) হুজুরের শুভ জন্মদিন স্মরণে আরো দুটি “আশেকে রাসুল (সা.) সম্মেলন” ও দুটি “গ্লোবাল রাসুল (সা.) কনফারেন্স” অনুষ্ঠিত হয়।

বিশ্ব আশেকে রাসুল (সা.) সম্মেলন
ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা হুজুরের আহ্বানে অনুষ্ঠিত বিশ্ব আশেকে রাসুল (সা.) সম্মেলন

এছাড়াও দেওয়ানবাগ শরীফে মুসলিম উম্মাহর জন্য গুরুত্বপূর্ণ দিনগুলি যেমন ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.), শবে কদর, শবে বরাত, শবে মেরাজ, পবিত্র আশুরা দিবস, ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহা ও প্রতি শুক্রবারে সাপ্তাহিক আশেকে রাসুল (সা.) মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

এসব আয়োজনে অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যা লক্ষ ছাড়িয়ে যেত, আর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মোহাম্মদী ইসলামের পরিচিতি ও আবেদন নতুন মাত্রা পায়। দেওয়ানবাগ শরীফ কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা এই ধারাবাহিক উদ্যোগ একদিকে যেমন মুসলিম উম্মাহর মধ্যে ঐক্যের বার্তা পৌঁছে দেয়, তেমনি অন্যদিকে বিশ্ববাসীর কাছে ইসলামের আধ্যাত্মিক ও মানবিক রূপ তুলে ধরে।

সৈয়দ মাহবুব এ খোদা দেওয়ানবাগী হুজুরের এই উদ্যোগগুলো প্রমাণ করে যে, ভালোবাসা, আধ্যাত্মিকতা এবং ঐক্যের মাধ্যমে ইসলামকে বিশ্বময় ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব। তাঁর আহ্বানে গঠিত এই মহৎ কর্মকাণ্ড মুসলিম উম্মাহর নিকট ইসলামের আদর্শ, শিক্ষা ও শান্তির বার্তা পৌঁছে দিচ্ছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top